en

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার কি?

উত্তর(১):- কোষ্ঠকাঠিন্য শনাক্ত করা কোন কঠিন বিষয় নয়। এই সমস্যায় সচরাচর যে লক্ষণগুলি দৃষ্টিগোচর হয় সেগুলি হলো: মল শুষ্ক, শক্ত ও কঠিন মল, মলত্যাগে অনেক বেশি সময় লাগা, মল ত্যাগের জন্য অনেক বেশি চাপের দরকার হওয়া, অধিক সময় ধরে মলত্যাগ করার পরও অসম্পূর্ণ মনে হওয়া, মলদ্বারের আশপাশে ও তলপেটে ব্যথা অনুভব, এবং প্রায়ই আঙুল, সাপোজিটরি বা অন্য কোনো উপায়ে মল নিষ্কাশনের প্রচেষ্টা.

বিভিন্ন কারণে মানুষের দেহে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। ডাক্তারদের মতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সচরাচর উৎস হলো আঁশযুক্ত খাবার এবং শাকসবজি কম খাওয়া, পানি কম খাওয়া, দুশ্চিন্তায় ভোগা, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, অন্ত্রনালিতে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কে টিউমার ও রক্তক্ষরণ, দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকা, ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (ডায়রিয়া বন্ধের ওষুধ, পেট ব্যথার ওষুধ) ইত্যাদি। এছাড়া ঋতু পরিবর্তনও কখনও কখনও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। এছাড়া, বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, যারা অতিরিক্ত চা বা কফি পান করেন তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা বেশী। একই সাথে চর্বি জাতীয় ও আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের আশঙ্কা আছে। যারা পানি পানে কৃপণ তারাও এই সমস্যায় সহজে আক্রান্ত হতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই লাভের উদ্দেশ্যে অনেকে মল নরম করার ঔষুধ ব্যবহার করেন যেমন ল্যাক্সেটিভ। এছাড়া মলদ্বারের ভেতরে দেওয়ার ঔষুধ আছে। এসব ঔষধের দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারে স্বাভাবিকবাবে মলত্যাগের অভ্যাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের মূল কারণ অপসারণের ওপর জোর দেয় হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ইসবগুল বা ভূসি ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে চিনি বা গুড়সহ নিয়মিত খালি পেটে সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার পদ্ধতি গ্রামে-গঞ্জে দীর্ঘকাল যাবৎ চালু আাছে। এছাড়া মিষ্টি পাকা বরই চটকে খোসা ও বীজ ফেলে অথবা ছেঁকে অল্প পানি মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের উপশম হয়। বেলের সরবতও উপকারী। ৩০-৩৫ গ্রাম পাকা বেলের শাঁস প্রতিবারে ১ গ্লাস পানিতে শরবত তৈরী করে দিনে ২ বার সেবন করতে হয়। এভাবে কমপক্ষে ৫-১০ দিন বেলের সরবাত পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। বুচকি দানাও উপকারী। ২ গ্রাম পাতা চূর্ণ রাতে ঘুমানোর সময় গরম পানি অথবা দুধসহ সেবন করতে হবে। খারাপ লাগলে দই খেতে হয়।

তথ্য সূত্র - উইকিপিডিয়া বাংলা

আরও জানুন:-

কপিরাইট © ২০১৮ রংতুলি চয়েস ইনফো